বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আনোয়ারা ড্রেস মেকারসের শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে অবস্থান করেন তারা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় আনোয়ারা ড্রেস মেকার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ শুরু করেন। বেলা ১২টার দিকে মালিকপক্ষ থেকে কিছু শ্রমিককে ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হলেও তাতে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করার কারণে টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় রাস্তার উভয় পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও খুলশী থানা পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আন্দোলনে যোগ দেন ফ্রাংক এপারেলস লিমিটেড নামের আরেকটি গার্মেন্টের শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী শ্রমিক মো. সেলিম বলেন, পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বেতনের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হলো। মালিকপক্ষ থেকে বারবার শুধু মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
আনোয়ারা ড্রেস মেকার্সের সুই অপারেটর রুবি আক্তার বলেন, এক বছর ধরে মালিক আমাদের বেতন নিয়ে ঝামেলা করছে। দুই মাস পর একমাসের বেতন দেয়। এখন ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হয়েছে। অথচ আমাদের ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনও দেয়নি। এরপর কোনো ঘোষণা না দিয়ে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য আমরা সকাল ৮টা থেকে এখানে বসে আছি। মালিক এসে বেতন না দেয়া পর্যন্ত আমরা যাব না।
এদিকে অবরোধের কারণে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে রুবি গেট অভিমুখে সড়কের দুইপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। আশপাশের সড়কগুলোতেও অনেক গাড়ি আটকে ছিল। ফলে দিনভর যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই এলাকা দিয়ে গন্তব্যমুখী লোকজনকে।
ভুক্তভোগী বাসযাত্রী সাইদুল ইসলাম বলেন, সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো যাবে না।
শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, দুইটি
বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আনোয়ারা ড্রেস মেকারসের শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে অবস্থান করেন তারা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় আনোয়ারা ড্রেস মেকার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ শুরু করেন। বেলা ১২টার দিকে মালিকপক্ষ থেকে কিছু শ্রমিককে ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হলেও তাতে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করার কারণে টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় রাস্তার উভয় পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও খুলশী থানা পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আন্দোলনে যোগ দেন ফ্রাংক এপারেলস লিমিটেড নামের আরেকটি গার্মেন্টের শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী শ্রমিক মো. সেলিম বলেন, পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বেতনের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হলো। মালিকপক্ষ থেকে বারবার শুধু মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
আনোয়ারা ড্রেস মেকার্সের সুই অপারেটর রুবি আক্তার বলেন, এক বছর ধরে মালিক আমাদের বেতন নিয়ে ঝামেলা করছে। দুই মাস পর একমাসের বেতন দেয়। এখন ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হয়েছে। অথচ আমাদের ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনও দেয়নি। এরপর কোনো ঘোষণা না দিয়ে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য আমরা সকাল ৮টা থেকে এখানে বসে আছি। মালিক এসে বেতন না দেয়া পর্যন্ত আমরা যাব না।
এদিকে অবরোধের কারণে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে রুবি গেট অভিমুখে সড়কের দুইপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। আশপাশের সড়কগুলোতেও অনেক গাড়ি আটকে ছিল। ফলে দিনভর যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই এলাকা দিয়ে গন্তব্যমুখী লোকজনকে।
ভুক্তভোগী বাসযাত্রী সাইদুল ইসলাম বলেন, সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো যাবে না।
শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, দুইটি কারখানা মিলিয়ে ৩০০ শ্রমিক আছে। এখানে বারবার বেতন নিয়ে সমস্যা হয়। এবারও কারখানা বন্ধের পর আমরা মালিকের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। উনি বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও এক সপ্তাহ পার করে ফেলেছেন। আজ যখন শ্রমিকরা রাস্তায় নামল, সকাল থেকে যোগাযোগ করছি, উনি আসবেন বলে সময়ক্ষেপণ করছেন। আমি পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি উনাকে কারখানায় নিয়ে আসার জন্য। দেখা যাক, একটা সমাধান অবশ্যই হবে।
আনোয়ারা ড্রেস মেকার্স লিমিটেড এর এমডি জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কারখানা মিলিয়ে ৩০০ শ্রমিক আছে। এখানে বারবার বেতন নিয়ে সমস্যা হয়। এবারও কারখানা বন্ধের পর আমরা মালিকের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। উনি বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও এক সপ্তাহ পার করে ফেলেছেন। আজ যখন শ্রমিকরা রাস্তায় নামল, সকাল থেকে যোগাযোগ করছি, উনি আসবেন বলে সময়ক্ষেপণ করছেন। আমি পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি উনাকে কারখানায় নিয়ে আসার জন্য। দেখা যাক, একটা সমাধান অবশ্যই হবে।
আনোয়ারা ড্রেস মেকার্স লিমিটেড এর এমডি জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


