বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—আব্দুল আলেকের ছেলে আয়নাল হক (৩৭), মিন্নত আলীর ছেলে ফজলু (৪১), মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে আয়নাল হক (৩৭) এবং আরফান আলীর ছেলে নাসির (৩৫)। তারা সবাই উপজেলার সাগরদীঘি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত মঙ্গলবার রাতে মামলার পর পুলিশ অভিযানে নামে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, ৩টি টর্চ লাইট, ২টি স্বর্ণের আংটি, হাতুড়ি, প্লায়ার্সসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪টি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা ১.৫ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘাটাইল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়।


