রিফাত রশীদ বলেন, ঢাবির সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী তানভীর হাসান সৈকতের নাম আসেনি তালিকায়। আসে নাই আবু ইউনুসের মতো সন্ত্রাসীদের নামও। চোখের সামনে আমার বোনেদের যারা ভিসি চত্বরে পেটালো তাদের নাম আসে নাই। প্রলয় গ্যাংয়ের একাধিক সন্ত্রাসীদের নাম আসে নাই তালিকায়।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসেব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই সমন্বয়ক ফেসবুকে লেখেন, এই বহিষ্কারের তালিকা বানানোর সিন্ডিকেটের সাথে কারা কারা আছে এইটা জানতে চাই আমরা। কাদের শেল্টার দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন? আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তানভীর হাসান সৈকত নিজে বসে এই লিস্ট বানাইছে। অবিলম্বে এই তালিকায় সকল হামলাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করে বহিষ্কার না করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এর ফল ভুগতে হবে।
পোস্টে আলী আহসান জুনায়েদ লেখেন, জুলাই-পূর্ব হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন দিল্লির আধিপত্যবাদীদের প্রত্যক্ষ সমর্থনে বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভাজিত করে মানুষের ওপর সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। আলেম-ওলামাসহ ইসলামপন্থিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। জামায়াত-শিবির পরিচয় ধারণ করলেই তাকে নির্মম টর্চারের লক্ষ্য বানিয়েছে।
‘ডান কিংবা বাম যে আদর্শেরই হোন, বিবেকবান হলেই জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। জুলুমের নিশানা হয়েছেন ধর্ম-বর্ণ-পেশা-লিঙ্গ-মতাদর্শ নির্বিশেষে সব নীতিনিষ্ঠ বিবেকবান ব্যক্তি।’
‘অতঃপর ফ্যাসিবাদ যে বিভাজনরেখা দাঁড় করিয়ে আমাদের নিঃশেষ করতে চেয়েছিল, আমরা একসঙ্গে তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা চেয়েছি। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চাইলে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব লাগবে, পেশিশক্তি ও চাঁদাবাজি-দুর্নীতিনির্ভর রাজনীতিকে হটানো লাগবে, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী কার্যকর অবস্থান লাগবে, ইসলামোফোবিয়া ও ধর্মবিদ্বেষ দূর করা লাগবে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাপনা লাগবে, উন্নত অর্থনৈতিক মডেল লাগবে ইত্যাদি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির এই নেতা বলেন, ‘সবার আগে লাগবে জুলাইয়ের ঐক্য। জুলাই আমাদের কাছে একটা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মডেল যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থই একমাত্র স্বার্থ। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটা ঐক্য এখনো আছে। জনগণ চাইলে সে ঐক্য আরও পোক্ত হবে।’


