নন্দী ডেস্ক: চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা যেন এক পর্যটন কেন্দ্র। ৪৮২.৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এ উপজেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ফেনী নদী, মুহুরী নদী, সন্দ্বীপ চ্যানেল, ইছাখালী, মহামায়া, ডোমখালি, হিঙ্গুলী ও মায়ানী খাল।
এছাড়া আছে মহামায়া লেক ও সেচ প্রকল্প, উপকূলীয় বনাঞ্চল, মুহুরী সেচ প্রকল্প, করেরহাট বনাঞ্চল, বাওয়াছড়া সেচ প্রকল্প, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, ধুমের শিলা পাথর (শান্তিরহাট), ছুটি খাঁ মসজিদ, পরাগল খাঁ দীঘি, নয়দুয়ারী মসজিদ, জগন্নাথ ধাম (আবু তোরাব), কালীমন্দির (করেরহাট), শান্তিনিকেতন বিহার, অভয়শরণ বিহার, মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল।
শুধু তাই নয়, বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শখের বসে নির্মাণ করা একটি বাড়ি। বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে করেরহাট ইউনিয়নের কয়লায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ি জনপদে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি।
শুধু শৈল্পিক বাড়ি নয়, আশপাশের সবুজ শ্যামল দৃশ্য, ফল-ফুলের বাগান আর পাখ-পাখালির কিচির মিচির শব্দ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। কারো মন খারাপ থাকলে এখানে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা কানাডা প্রবাসী ও ব্যবসায়ী আফছার হোসেন চৌধুরী ২০০ শতক জায়গার উপর শখের বসে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। প্রতিনিয়তই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে বাড়িটিকে দেখতে।
পাহাড়ি জনপদে নান্দনিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই বাড়ির নির্মানের পাশাপাশি শখের বসে পালন করছেন টার্কি মুরগিও। যা ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মনকে আকৃষ্ট করে তোলে।
মুরগিগুলো পালন করার জন্য বাড়ির ভেতর বিভিন্ন আকৃতির ঘর ও খাঁচা তৈরি করেন। মাঝেমধ্যে টার্কিগুলো বিকট শব্দে ডেকে উঠছে।