আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি অঙ্গন। গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। কোনো দাবিতেই পেছাবে না নির্বাচন।’ তার এই বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২২ মার্চ) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি।
বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মন্তব্য করে বলেন, ‘আপনাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে, আপনারা ক্যান্টনমেন্টে থাকুন। আপনাদেরকে আমরা সম্মান জানাই। গত ১৬ বছর জাতীয় রাজনীতিতে যেভাবে নোংরা হস্তক্ষেপ করেছেন, ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে তা আর করতে দেওয়া হবে না।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন আছে। আমরা আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের যে অবদান রয়েছে সেটাকে আমরা অস্বীকার করি নাই।
সমাবেশে সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে এতগুলা ডামি নির্বাচন হলো, আপনাদের ইনক্লুসিভিটি কোথায় ছিল। এত বছর কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে সেনাবাহিনীর কোনো একটি জেনারেলকে দেখিনি পদত্যাগ করতে। এত গুম-খুন, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন চলেছে আপনারা প্রতিবাদ করেননি। এখন আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একটি সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরে যেতে চাই। আপনারা এতে হস্তক্ষেপ করবেন না।’
হাসনাত বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই। আপনারা জনগণকে আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। আমাদের অবস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। সেনাবাহিনীকে যারা অপব্যবহার করতে চায়, আমাদের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সেনাবাহিনী আমাদের আস্থার প্রতিদান দেবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ আর কখনো পুনর্বাসিত হবে না।’


